অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি টিউটোরিয়াল -০৩
অষ্টম শ্রেণির
শিক্ষার্থীদের তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি
সিনিয়র
শিক্ষক, ভিক্টোরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
তথ্য
ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহার
প্রশ্ন
: কম্পিউটার হ্যাকিং কী? এটি একটি অনৈতিক কাজ- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর
: কম্পিউটার হ্যাকিং- হ্যাকিং বলতে বুঝানো হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বা
ব্যবহারকারীর বিনা অনুমতিতে তার কম্পিউটার সিস্টেম বা নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা।
হ্যাকিং একটি অনৈতিক কাজের ব্যাখ্যা- ইন্টারনেটে ঢুকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখা যায়।
কিন্তু ওয়েবসাইটের নিজস্ব বা গোপন অংশগুলোয় ঢোকার প্রয়োজন নেই। যেখানে যেতে পারে
ওয়েবসাইট সংশ্লিষ্ট নির্দিষ্ট মানুষজন যারা গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সেখানে
প্রবেশ করে। তাদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি নেই তারাও কিন্তু সেখানে ঢোকার চেষ্টা
করতে পারে। পাসওয়ার্ড জানা না থাকলেও সেটিকে পাশ কাটিয়ে অনেক সময় কেউ ওয়েবসাইটের
ভেতরে ঢুকে যায়, সেখানে ঢুকে সে কোনো কিছু স্পর্শ না করে বের হয়ে আসতে পারে, আবার
কোনো কিছু পরিবর্তন করে বা নষ্ট করেও চলে আসতে পারে। যেহেতু এ কাজগুলো করা হয়
নিজের ঘরে একটা কম্পিউটারের সামনে বসে এবং যেখান থেকে অনুপ্রবেশ হয় সেটি হয়তো লাখ
মাইল দূরের কোনো জায়গা-অদৃশ্য একটি সাইবার জগৎ, লোকচক্ষুর আড়ালে, তাই সেটি ধরার
উপায়ও থাকে না। এ প্রক্রিয়াটির নাম হচ্ছে হ্যাকিং এবং আজকাল নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইট
হ্যাকিং হচ্ছে যেটা সম্পূণরূপে অনৈতিক কাজ।
প্রশ্ন
: কম্পিউটার ভাইরাস কী? তুমি কীভাবে বুঝবে তোমার কম্পিউটারটি ভাইরাস আক্রান্ত
হয়েছে?
উত্তর
: কম্পিউটার ভাইরাস- ভাইরাস হচ্ছে এক ধরনের বিপত্তি সৃষ্টিকারী প্রোগ্রাম। দুষ্ট
বুদ্ধির কিছু মানুষ এক ধরনের প্রোগ্রাম তৈরি করে ফ্লপি ডিস্কে দিয়ে দেয় বা
নেটওয়ার্কে ছেড়ে দেয়, যা কম্পিউটারের স্বাভাবিক প্রোগ্রামগুলোর কাজ বিঘ্নিত করে। এ
ধরনের প্রোগ্রামকেই ভাইরাস বলা হয়। কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া যেভাবে বোঝা
যাবে : কম্পিউটারের মাধ্যমে সবসময় স্বাভাবিক কাজই পাওয়া যাবে। আর এটি অতিদ্রুত সব
কাজ সম্পন্ন করবে। কিন্তু যদি এর স্বাভাবিকতা প্রদর্শিত না হয় তবে বুঝতে হবে যে,
কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। নিম্নে কম্পিউটারটি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার
উপসর্গগুলো আলোচনা করা হল-
১.
কম্পিউটারটি স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরগতি হলে। ২. প্রোগ্রাম লোড হতে স্বাভাবিক সময়ের
তুলনায় বেশি সময় লাগলে। ৩. ডিস্ক ও ফাইল নষ্ট হয়ে গেলে। ৪. ডিস্কের নাম পরিবর্তন
হলে। ৫. অযৌক্তিক প্রমাদবার্তা প্রদর্শিত হলে।
এ
ছাড়া আরও অনেক প্রকার অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখা
দিলে বুঝতে হবে কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।
No comments